সবার আগে সিলেটি ভাষার মধ্যে গালি কিভাবে ভাষায় ব্যবহৃত হয় তার কিছু নমুনা দেখা যাক –
সিলেটি ভাষায় গালি
১. বেত্তমিজর পুয়ার মাত হুন ( বেতমিজ ছেলের কথা শোন)
২. হারামজাদির পুড়ি দেখসসনি খিতা করে ( হারামজাদি মেয়ে কি করে দেখ)
৩. আউকাল করস কেনে ( ঝামেলা করছো কেন)
৪. উবাচুবা মাতিয়া বেরা লাকসে (তাড়াহুরায় কথা বলে সমস্যা হয়েছে )
৫. পুন্দাপুন্দি এখন বারর ( গভীর সম্পর্ক এখন বের হচ্ছে)
৬. আছুদার মাত হুনচনি ( বেকুবের কথাগুলো শুনেছো)
৭. বেঠির তাল দেখ্রায়নি ( মহিলার তামাশা দেখেছো)
৮. হর্ বেঠা আরুয়া ( সর ব্যাটা আহম্মক)
৯. আদুমছুদুম মাতিস না ( বাজে বকো না)
১০. তুমি আমার বগা করিলাইবায় ( তুমি আমার কিছুই করতে পারবে না)
সিলেটের বিশিষ্ঠ লেখক ও গবেষক আহমদ সিরাজ সিলেটের নানান অঞ্চল ঘুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় দেড়শতাধিক গালি সংগ্রহ করেছেন। এগুলোর কোন কোনটি অব্যহৃত হতে হতে বিস্মৃতির পর্যায়ে চলে গেছে। কোনটির কোনটির প্রকৃত ব্যাখ্যাও অনেক সময় খুজে পাওয়া যায়না।
অবহেলা বা লোকমানুষের ভাষা হিসাবে দুরে ঠেলে না দিয়ে এসব লোকজ উপাদানের অনুসন্ধান ও সংরক্ষন দরকার, কারণ এর সাথে জড়িত আছে লোকঐতিহ্য, ভৌগলিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের বিবর্তন। পাঠকদের জন্য সংগৃহীত গালিসমুহের কিয়দংশ তুলে ধরা হলো –
১. কুত্তার ছাও
২. ছামার (চামার)
৩. ডেকা (গরুর বাচ্চা, নষ্ট ছেলে)
৪. মুড়াহুরইনদি ( ঝাড়ুর শেষাংশ দিয়ে)
৫. হেঙ্গা ( ২য় বিয়ে)
৬. হেঙ্গী ( ২য় বিয়ে, স্ত্রীবাচক)
৭. গাউয়া (গ্রাম্য)
৮. বাতাই খাউরি (নিজ দোষে ভাইহারা)
৯. চুদিরফুত (অবৈধ সন্তান)
১০. পুংগা( জারজ)
১১. বগা (পুং জননাঙ্গ)
১২. জাউয়ার (ঠগ)
১৩. উটলু (স্থানচ্যুত)
১৪. পেলপড়রা (নি;স্তেজ যৌনাঙ্গ)
১৫. মুতিচেংড়া (ছোটলোক)
১৬. আছুদামি (বেকুবি)
১৭. লাং (২য় স্ত্রী)
১৮. ইল্লত (জন্জাল)
১৯. বইতল (কর্মহীন)
২০. আলুয়া (হালচাষী)
২১. আবাদী (আবাদ করে খায় যারা, নন-সিলেটি)
২২. বাটুয়া (বেহিসাবি)
২৩. পথ আগরা ( রাস্তায় পায়খানা করে যে)
২৪.লাটিয়া (যত্রসত্র ঘুরে বেড়ানো ব্যক্তি)
২৫. বাওসারা ( ঐ)
২৬. বাটুয়া (বেহিসাবী)
২৭. চউখতোড় (লাজলজ্জাহীন)
২৮. উদলাচুলি (বেশরম)
২৯. চুকুমবুদাই (আহম্মক)
৩০. উছুতুছু (বেহুস প্রকৃতির)
৩১. লাউয়া (দিশাহীন, লক্ষ্যহীন)
৩২. নাগার্সি (তুচ্ছ)
৩৩. বিতলা ( শয়তান)