সুপ্রিয় পাঠক, আজ আপনাদের মাঝে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান উপস্থাপন করব। এখানে পাবেন ৪০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৯ পিডিএফ, ৪০ তম বিসিএসের ৩৫ টি প্রশ্নের পূর্ণ সমাধান ২০১৯, ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর বাংলা প্রশ্নের সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ও সমাধান। তাই আপনাদের অনুরোধে এখানে ৪০ তম বিসিএসের বাংলা অংশের পূর্ণ সমাধান দেয়া হয়েছে। বাংলার ৩৫ টি প্রশ্নের পরিপূর্ণ সমাধান আছে। ইতিমধ্যে ১০ম প্রিলিমিনারি বিসিএস পরীক্ষার বাংলা অংশের প্রশ্ন সমাধান এবং অভিনব কৌশলে ১০ম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ইংরেজির প্রশ্ন সমাধান (ব্যাখ্যাসহ), সেরা টেকনিকে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলী ব্যাখ্যাসহ সমাধান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিসিএস প্রশ্ন, চাকরির প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ৪০ তম বিসিএসের বাংলা অংশের সম্পূর্ণ সমাধান পেতে পোস্টটি ভালভাবে পড়ুন। ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর বাংলা প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন। You are here for 40th bcs bangla preliminary full solution.
৪০ তম বিসিএস এর বাংলা ব্যাকরণ অংশঃ
এখানে ৪০ তম বিসিএস এর বাংলা ব্যাকরণ অংশ আলোচনা করা হলো।
০১। বাক্যের ক্রিয়ার সাথে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে।
এ সম্পর্কিত প্রশ্নের সাথে যে প্রশ্নগুলোর উত্তর অপশনে থাকে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাঃ কারক শব্দের অর্থ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। যেমন—ছাদেবসে মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। শব্দ গঠনের উদ্দেশ্যে নাম প্রকৃতির এবং ক্রিয়া প্রকৃতির পরে যে শব্দাংশ যুক্ত হয় তাকে প্রত্যয় বলে। বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলাে কখনাে স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনাে শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে তাকে অনুসর্গ বলে।
যেমন প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি ইত্যাদি।
০২।“গির্জা‘ কোন ভাষার অন্তর্গত শব্দ? উত্তরঃ গির্জা পর্তুগিজ ভাষার শব্দ। গির্জা হলাে
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়।
পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত আরও কয়েকটি শব্দ—আনারস, আলপিন, আলমারি, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, পাদ্রি, বালতি ইত্যাদি।
ফারসি শব্দ : দরবার, আমদানি, জানােয়ার, জিন্দা, নমুনা, বদমাশ, রফতানি, হাঙ্গামা ইত্যাদি। ওলন্দাজ শব্দ : ইস্কাপন, টেক্কা, তুরুপ, রুইতন, হরতন ইত্যাদি।
চাহিদা, শিখ হলাে পাঞ্জাবি শব্দ।
০৩। কোন শব্দযুগল বিপরীতার্থক নয়?
ঐচ্ছিক অর্থ ইচ্ছানুরূপ, ইচ্ছাধীন, অবশ্যপাঠ নয় এমন। অনাবশ্যক অর্থ আবশ্যক নয় এমন, অপ্রয়ােজনীয়, অকারণ। সুতরাং ঐচ্ছিক ও অনাবশ্যক প্রতিশব্দ, ঐচ্ছিক এর বিপরীত শব্দ আবশ্যিক। কুটিল- সরল, কম-বেশি, কদাচার-সদাচার হলাে বিপরীত শব্দ।
০৪। দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক বাংলা ব্যাকরণ অনুযায়ী তৃতীয়া বিভক্তি।
বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের সম্পর্ক | সাধনের জন্য শব্দের সাথে যেসব বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বিভক্তি বলে। বিভক্তি সাত প্রকার প্রথম, দ্বিতীয়া, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চমী, ষষ্ঠী এবং সপ্তমী। দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক তৃতীয়া বিভক্তি। ০ (শূন্য) অ, এ, তে প্রথম বিভক্তি। কে, রে দ্বিতীয়া বিভক্তি।
০৫।‘অভিরাম‘ শব্দের অর্থ সুন্দর।
সংস্কৃত উপসর্গ যােগে গঠিত শব্দ ‘অভিম” অর্থ। | মনােহর, সুন্দর, তৃপ্তিদায়ক। বিরামহীন অর্থ বিশ্রাম নেই এমন, বিরতিহীন। বালিশ অর্থ উপাধান। চলন অর্থ গমন| ভ্রমণ, সঞ্চালন, স্পন্দন, আচার-ব্যবহার, প্রচলন, প্রথা, ধারা, রীতি, রেওয়াজ।
০৬।“শরতের শিশির” বাগধারা শব্দটির অর্থ সুসময়ের বন্ধু। শরতের শিশির বাগধারাটির অর্থ সুসময়ের বন্ধু, ক্ষণস্থায়ী। দুধের মাছি বাগধারার অর্থও সুসময়ের বন্ধু।
০৭।“শিব রাত্রির সলতে” বাগধারাটির অর্থ একমাত্র সন্তান।
শিবরাত্রির সলতে বাগধারার অর্থ একমাত্র জীবিত | বংশধর বাবা মার একমাত্র সন্তান একমাত্র বংশধর।
০৮।‘প্রােষিতভর্তৃকা‘—শব্দটির অর্থ হলো যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে। এককথায় প্রকাশ : যে নারীর স্বামী বিদেশে অবস্থান করে- প্রােষিতভর্তৃকা। যে নারী (বিবাহিত বা অবিবাহিত) চিরকাল পিতৃগৃহবাসিনী—চিরন্ট। যে পুরুষের স্ত্রী বিদেশে থাকে- প্রােষিতপত্নীক বা প্রােষিতভার্য। ভৎর্সনকাণ্ড যে নারী- ভর্তসিতা
০৯। বাংলা কৃৎপ্রত্যয় সাধিত শব্দ খেলনা।
খেল + অনা = খেলন কংলা কৃৎ প্রত্যয়‘অনা’ যােগে গঠিত। এরূপ আরও কয়েকটি প্রত্যয়সাধিত শব্দ। vদুল + অনা = দুলনা, vদে + অনা = দেনা, vপা + অন্য= পাওনা, vকাঁদ + অনা = কান্না। সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় যোগে গঠিত শব্দ vক্ + অক = কারক, লিখ্ +ত = লিখিত, vবিদ + অন + আ = বেদনা।
১০। ‘Attested’-এর বাংলা পরিভাষা সত্যায়িত/ প্রত্যয়িত।
বাংলা একাডেমি Englislr-Bangla Dictionary ও আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী Attested অর্থ সত্যায়িত/ প্রত্যয়িত। অন্যদিকে বাংলা একাডেমি প্রশাসনিক পরিভাষা গ্রন্থ অনুযায়ী Attested-এর বাংলা পরিভাষা সত্যায়িত ও Certified-এর পরিভাষা প্রত্যয়িত। এছাড়া ড. হায়াৎ মামুদের ভাষা-শিক্ষা গ্রন্থ অনুযায়ী Attested-এর বাংলা পরিভাষা প্রত্যয়িত ।
১১। কোনটি শুদ্ধ বানান? উত্তরঃ প্রােজ্জ্বল।
সংস্কৃত বিশেষণ পদ প্র + উজ্জ্বল = প্রােজ্জ্বল অর্থ বিশেষভাবে উজ্জ্বল।
১২।‘জোছনা‘ অর্ধ-তৎসম শ্রেণির শব্দ।
বাংলা ভাষায় কিছু সংস্কৃত শব্দ কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত আকারে ব্যবহৃত হয়। এগুলােকে বলে অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমন জোছনা, ছেরাদ্দ, গিন্নি, বােষ্টম, কুচ্ছিত-এ শব্দগুলাে যথাক্রমে সংস্কৃত জ্যোৎস্না,শ্রাদ্ধ, গৃহিণী, বৈষ্ণব, কুৎসিত শব্দ থেকে আগত। যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সােজাসুজি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে তাদেরকে তৎসম শব্দ বলে। যেমন- চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি। বাংলাদেশের আদিম অধিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতির কিছু কিছু উপাদান বাংলায় রক্ষিত আছে। এসব শব্দকে দেশি বলা হয় যেমন- কুলা, গঞ্জ, চোঙ্গা, টোপর, ডাব, ডাগর, ঢেঁকি ইত্যাদি। যেসব শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ ব্যবহারিক অর্থ একই রকম সেগুলােকে যৌগিক শব্দ বলে। যেমন—গায়ক, কর্তব্য, বাবুয়ানা, মসুর, দৌহিত্র, চিকামারা ইত্যাদি।
১৩।“জিজীবিষা‘ শব্দটি দিয়ে “বেঁচে থাকার ইচ্ছা” বােঝায়
এককথায় প্রকাশ : বেঁচে থাকার ইচ্ছা—জিজীবিষা;
জয়ের ইচ্ছা—জিগীষা।
হনন (হত্যা) করার ইচ্ছা- জিঘাংসা।
১৪।“সর্বাঙ্গীণ‘ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় হলো সর্বাঙ্গ+ঈন্। ঈন্ প্রত্যয়যােগে গঠিত শব্দ – সর্বাঙ্গ + ঈন্ = সর্বাঙ্গীণ, কুল + ঈন্= কুলীন, সমকাল + ঈন্= সমকালীন, সর্বজন + ঈন্= সর্বজনীন।
১৫। অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে বলা হয় কুম্ভিলকবৃত্তি। যে ব্যক্তি অন্যের রচনার ভাব বা ভাষা নিজের নামে চালায় তাকে কুম্ভিলক বলে। কুম্ভিলক-এর ইংরেজি পরিভাষা plagiarist। তাই অন্যের রচনা থেকে চুরি করাকে তাই এক কথায় বলে কুম্ভিলকবৃত্তি।
৪০ তম বিসিএস এর বাংলা সাহিত্য অংশঃ
৪০ তম বিসিএস এর বাংলা সাহিত্য অংশ ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন করছি।
১৬।“ঊর্ণনাভ’ শব্দটি দিয়ে বুঝায় মাকড়সা।
“ঊর্ণনাভ’ সংস্কৃত শব্দ, বিশেষ পদ, অর্থ মাকড়সা।“উর্ণানাভ যে সূত্র দিয়া জাল প্রস্তুত করে …।‘ – অক্ষয়কুমার দত্ত। টিকটিকি শব্দটি আলংকারিক অর্থে গােয়েন্দা বােঝায়। আরশােলার প্রতিশব্দ তেলাপােকা। বল্মীক অর্থ উইপােকা।
১৭। চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মমতের কথা আছে। বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্বকথা বিধৃত হয়েছে। চর্যাপদের মাধ্যমে বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যের গােপন তত্ত্বদর্শন ও ধর্মচর্চাকে বাহ্যিক প্রতীকের সাহায্যে ব্যক্ত করেছেন। বৌদ্ধধর্মের মহাযান শাখা কালক্রমে যেসব উপশাখায় বিভক্ত হয়েছিল তারই বজ্রযানের সাধনপ্রণালী ও তত্ত্ব এতে বিধৃত করা হয়েছে।
১৮। উল্লিখিতদের মধ্যে কে প্রাচীন যুগের কবি নন?
কাহ্নপাদ, লুইপাদ, শান্তিপাদ, রমনীপাদ তথ্যপ্রদত্ত অপশন অনুযায়ী প্রাচীন যুগের কবি নন
রমনীপাদ। কাহ্নপাদ, লুইপাদ ও শান্তিপদ তিনজনই প্রাচীন যুগের কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন চর্যাপদের প্রথম কবি লুইপাদ এবং সবচেয়ে বেশি পদ (১৩টি) রচনা
করেন কাহ্নপাদ। শান্তিপাদও দুটি পদ রচনা করেন।
১৯। উল্লিখিতদের কোন রচনাটি পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয়?
ক) ময়মনসিংহ গীতিকা খ) ইউসুফ জুলেখা গ) পদ্মাবতী ঘ) লাইলী মজনু
বাংলাদেশে লােকগীতিকাগুলােকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা ১. নাথগীতিকা ২. ময়মনসিংহ গীতিকা ও ৩. পূর্ববঙ্গ গীতিকা। ময়মনসিংহ গীতিকা‘র পালাগুলাে সংগ্রহ করেন চন্দ্রকুমার দে এবং তা সম্পাদনা করেন ড. দীনেশচন্দ্র সেন। পুথি সাহিত্যের অন্তত “ইউসুফ জোলেখা”, “পদ্মাবতী” ও “লাইলী মজনু” কাব্যের রচয়িতা যথাক্রমে ফকির গরীবুল্লাহ, আলাওল ও দৌলত উজির বাহরাম খান। উল্লেখ্য, ইউসুফ জোলেখা‘ নামে শাহ মুহম্মদ সগীর ও আবদুল হাকিম কাব্য রচনা করেন।
২০। বৃন্দাবন দাস জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত। বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের গতানুগতিক ধারায় জীবনী সাহিত্য এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। জীবনী সাহিত্যের রচয়িতাগণের উদ্দেশ্য ছিল চৈতন্যদেবের মহান জীবনকাহিনি বর্ণনার মাধ্যমে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজের গৌরব প্রতিষ্ঠা করা। বাংলা সাহিত্যে জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন বৃন্দাবন দাস। তিনি বাংলা ভাষায় শ্রীচৈতন্যের প্রথম জীবনীকাব্য ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত‘ রচনা করেন। পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি ফকির গরীবুল্লাহ। মনসামঙ্গলের অন্যতম কবি বিপ্রদাস পিপিলাই। তার রচিত কাব্য মনসাবিজয়‘। বৃন্দাবন দাস ছাড়াও নরহরি সরকার, রঘুনাথ দাস, মুরারি গুপ্ত, লােচনদাস, কৃষ্ণদাস কবিরাজ প্রমুখ কবি জীবনীকাব্য রচনায় উল্লেখযােগ্য অবদান রাখেন।
২১। বৈষ্ণব পদাবলির সঙ্গে ব্রজবুলি ভাষা সম্পর্কিত? মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ বৈষ্ণব পদাবলি। বৈষ্ণব পদাবলির অধিকাংশ পদ রচিত হয়েছে ব্রজবুলি ভাষায়। ‘ব্রজবুলি বাংলা ও মৈথিলি ভাষার মিশ্রণে এক প্রকার কৃত্রিম কবিভাষা। এ ভাষার স্রষ্টা বিদ্যাপতি। চর্যাপদের সাথে সম্পর্কিত ভাষা সন্ধ্যাভাষা।
২২। বাংলা আধুনিক উপন্যাস-এর প্রবর্তক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। ইংরেজি নভেল (Novel) শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ উপন্যাস। বাংলা আধুনিক যুগের (১৮০১-বর্তমান) অন্যতম সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচ্য হলাে উপন্যাস। বাংলা উপন্যাস রচনায় প্রথম প্রচেষ্টা চালান ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় । অবাঙালি হ্যানা ক্যাথারিন ম্যালেন্স কর্তৃক রচিত ১৮৫২ সালে প্রথম লক্ষণাক্রান্ত বাংলা উপন্যাস‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ‘। বাঙালি ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্র কর্তৃক ১৮৫৮ সালে রচিত উপন্যাস “আলালের ঘরের দুলাল‘ উপন্যাসটি প্রথম বাংলা উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত। সাধু ও কথ্য ভাষার মিশ্রণে আলালী ভাষায় তিনি এ উপন্যাস রচনা করেন। এ উপন্যাসই বাঙালি পাঠক সমাজে ততােটা সার্থক হতে পারেনি। উনিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলা উপন্যাসের সুচনায় সামাজিক কাহিনির প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। তবে‘ফুলমণি ও করুণার বিবরণ‘ উপন্যাসে মূলত উঠে আসে খ্রিস্ট ধর্মীয় উপাখ্যান। সে কারণে রচনাকর্মটি সার্থক। উপন্যাসের মর্যাদা পায়নি। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বহুমাত্রিক বিষয় নিয়ে মােট ১৪টি উপন্যাস রচনা করে বাংলা সাহিত্যে উপন্যাস শাখার ভিত মজবুত করেন। তার রচিত প্রথম উপন্যাস ইংরেজি ভাষায় লেখা ‘Rajmohon’s Wife’. তবে ১৮৬৫ সালে বাংলায় রচিত দুর্গেশনন্দিনী‘ উপন্যাসটি বাংলা উপন্যাসের সবচেয়ে সার্থক উপন্যাস হিসেবে সাহিত্যবােদ্ধারা মেনে নেন।
২৩.‘কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে।
সন্ধ্যাবেলায় দীপ জ্বালার আগে
সকালবেলায় সলতে পাকানাে’
বাক্যদ্বয়‘যােগাযােগ’ রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু আরম্ভের পূর্বেও আরম্ভ আছে। সন্ধ্যাবেলায় দ্বীপ জ্বালার আগে সকালবেলায় সলতে পাকানাে।‘ বাক্যদ্বয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যােগাযােগ‘ উপন্যাসের প্রথম অধ্যায় থেকে নেয়া হয়েছে। ১৯২৭ সালে উপন্যাসটি মাসিক ‘বিচিত্রা‘ পত্রিকায় তিন পুরুষ নামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। এ উপনাসের প্রধান চরিত্র কুমুদিনী ও মধুসূদন। নৌকাডুবি, চোখের বালি ও শেষের কবিতা উপন্যাসের রচয়িতাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২৪.“একটি কালাে মেয়ের কথা” মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘একটি কালাে মেয়ের কথা’। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরাে কয়েকটি উপন্যাস রাইফেল রােটি আওরাত (আনােয়ার পাশা), নিষিদ্ধ লােবান (সৈয়দ শামসুল হক), জলাংগী (শওকত ওসমান), উপমহাদেশ (আল মাহমুদ), হাঙর নদী গ্রেনেড (সেলিনা হােসেন), আগুনের পরশমণি (হুমায়ুন আহমেদ)। ‘তেইশ নম্বর তৈলচিত্র‘ ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ রচিত মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণধর্মী উপন্যাস। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত “ইছামতী” উপন্যাসের মূল উপজীব্য ইছামতী নদীর তীরবর্তী গ্রামের মানুষের জীবনকথা। এ উপন্যাসের জন্য তিনি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন।
২৫.‘কালাে বরফ‘ উপন্যাসটির বিষয় হলো ‘দেশভাগ’। কথাসাহিত্যিক মাহমুদুল হক রচিত ‘কালাে বরফ’ উপন্যাসটির বিষয় ‘দেশভাগ’। তিনি এ উপন্যাসে দেশভাগের বেদনাদীর্ণ সাধারণজনের হৃদয়হেরী আর্তি সহজভাবে তুলে ধরেছেন। তার খেলাঘর, অশরীরী ও মাটির জাহাজ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস তার রচিত আরাে কয়েকটি উপন্যাস হলো-অনুর পাঠশালা, জীবন আমার বােন, নিরাপদ তন্দ্রা, যেখানে খঞ্জনা পাখি ইত্যাদি। ভাষা। আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস- আরেক ফালুন, আর্তনাদ, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি। আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খােয়াবনাম‘ উপন্যাসে ইতিহাসের বিচিত্র উপকরণ স্থান পেয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য তেভাগা আন্দোলন, পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহী বিদ্রোহ, দেশবিভাগ, ফকির বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ। ২৬। ঢাকা প্রকাশ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক হলেন কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। ‘ঢাকা প্রকাশ (১৮৬১) সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। মাসিক ‘মনােৱঞ্জিকা‘ ও কবিতা কুসুমাঞ্জলি‘ পত্রিকাও তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। প্রবাসী (১৯০১), দৈনিক বাংলা ও সমকাল (১৯৫৭) পত্রিকার সম্পাদক যথাক্রমে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, শামসুর রাহমান ও সিকান্দার আবু জাফর।
২৭।“জীবনস্মৃতি‘ রচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আত্মজীবনীমূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ ‘জীবনস্মৃতি‘ (১৯১২)। তার রচিত আরাে কয়েকটি প্রবন্ধগ্রন্থকালান্তর, সভ্যতার সংকট, পঞ্চভূত, মানুষের ধর্ম, বিচিত্র প্রবন্ধ, শব্দতত্ত্ব। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনীমূলক বর্ণনাধর্মী অসমাপ্ত রচনার নাম ‘আত্মচরিত‘। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘তৃণাঙ্কুর‘। মুসলিম নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের উল্লেখযােগ্য রচনা‘মতিচুর‘ ও ‘অবরােধবাসিনী‘।
২৮। দীনবন্ধু মিত্রের‘নীলদর্পণ‘ নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ‘ নাটকটি ১৮৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। নাটকটি বাংলাদেশের মেহেরপুর অঞ্চলের নীলকরদের অত্যাচার ও নীলচাষীদের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে রচিত হয়েছে। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে নীলদর্পণ‘ নাটকটি NIL DARPAN or THE INDIGO PLANTING MIRROR (১৮৬১) নামে অনুবাদ করেন। দীনবন্ধু মিত্রের আরাে কয়েকটি নাটক নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, জামাই বারিক, কমলে কামিনী। মাইকেল মধুসূদনের উল্লেখযােগ্য নাটক শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী।
২৯। ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারাদিন আমি যেন ভালাে হয়ে চলি’ চরণ দুটির রচয়িতা হলেন মদনমােহন তর্কালঙ্কার। সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,সারাদিন আমি যেন ভালাে হয়ে চলি। চরণ দুটি মদনমােহন তর্কালঙ্কার রচিত ‘আমার পণ‘ কবিতার অন্তর্ভুক্ত। ছাত্রাবস্থায় তিনি সতরঙ্গিনী‘ ও ‘বাসবদত্তা‘ কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। তার অন্যতম সাহিত্যকর্ম ‘শিশুশিক্ষা” নামক শিশুতােষ গ্রন্থ। এ গ্রন্থের প্রথম ভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতােষ কবিতা হলাে ‘পাখি সব করে রব, রাতি পােহাইল।‘
৩০। জসীমউদ্দীনের রচনা কোনটি?
ক) যাদের দেখেছি খ) পথে প্রবাসে
গ) কাল নিরবধি ঘ) ভবিষ্যতের বাঙালী
পল্লিকবি জসীমউদ্দীন রচিত স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ ‘যাঁদের দেখেছি’। তার এরূপ আরাে একটি গ্রন্থ ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়। তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ“জীবন কথা’। জসীমউদদীন রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ-রাখালী, বালুচর, মাটির কান্না, ধানখেত। তার বিখ্যাত গাথাকাব্য নকসী কাঁথার মাঠ, সােজন বাদিয়ার ঘাট। তার একমাত্র উপন্যাস ‘বােবা কাহিনী’। পথে-প্রবাসে (ভ্রমণকাহিনি), কাল নিরবধি (আত্মজীবনী) ও ভবিষ্যতের বাঙালি (প্রবন্ধ) গ্রন্থের রচয়িতা যথাক্রমে অন্নদাশঙ্কর রায়, আনিসুজ্জামান ও এস ওয়াজেদ আলি।
৩১। কিন্তু মানুষ কখনাে পাষাণ হয় না‘—উক্তিটি বঙ্কিমচন্দ্রের‘রাজসিংহ‘ উপন্যাসের?
উক্তিটির সঠিক রূপ‘কিন্তু মনুষ্য কখন পাষাণও হয়’। বাংলা কথাসাহিত্যের উপন্যাস শাখায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য ভাবাদর্শের সেতুবন্ধন করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তার রচিত ‘রাজসিংহ‘ উপন্যাসের সপ্তম খরে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : নয়নবহ্নিও বুঝি জ্বলিয়াছিল-এর শেষ বাক্য এটি। রাজসিংহ (১৮৮২) ও আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কাহিনিতে তিনি হিন্দুর বাহুবল ও বীরত্বের কথা রূপায়ণ করেছেন।
৩২। ইয়ংবেঙ্গল গােষ্ঠীভুক্ত ছিলেন কে?
ক) অক্ষয়কুমার দত্ত খ) এন্টনি ফিরঙ্গি গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘ) কালীপ্রসন্নসিংহ ঠাকুর। হিন্দু কলেজের তরুণ শিক্ষক ডিরােজিওর (১৮০৯-১৮৩১) শিষ্যরাই মূলত ইয়ংবেঙ্গল নামে পরিচিত । ইয়ংবেঙ্গল হিসেবে যে নামগুলাে পাওয়া যায় তা হলাে যথাক্রমে দক্ষিণারঞ্জন মুখােপাধ্যায়, রামতনু লাহিড়ী, প্যারীচাঁদ মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রামগােপাল ঘােষ, হরচন্দ্র ঘােষ, শিবচন্দ্র দেব, তারাচাঁদ চক্রবর্তী, কৃষ্ণমােহন বন্দ্যোপাধ্যায়, মহেশচন্দ্র ঘােষ, রসিককৃষ্ণ মল্লিক, গঙ্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধবচন্দ্র মল্লিক, গােবিন্দ্রচন্দ্র বসাক, অমৃতলাল মিত্র প্রমুখ। আর মধুসূদন দত্ত ছিলেন ইয়ংবেঙ্গল গােষ্ঠীভুক্ত একজন। ১৮৪০ সালে সাধারণ জ্ঞানােপার্জিক সভার সভ্য তালিকায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের সহপাঠী প্যারীচাঁদ মিত্র, কিশােরীচাঁদ ঠাকুর, প্যারীচরণ সরকার, গােবিন্দ দত্ত, জ্ঞানেন্দ্রমােহন ঠাকুরের নাম পাওয়া যায়। মধুসূদন দত্ত ১৮৪৩ সালে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করায় তিনি পরবর্তীতে হিন্দু কলেজ ত্যাগ করেন এবং মাইকেল মধুসূদন দত্ত নামে পরিচিতি লাভ করেন। (তথ্যসূত্র: আশার ছলনে ভুলি, গােলাম মুরশিদ, পৃষ্ঠা ৩০।
৩৩।‘বিদ্রোহী‘ কবিতাটি ১৯২২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে কবি নজরুল বিদ্রোহী কবিতাটি লেখেন। আর তা ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতাটি তার প্রথম প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা‘ কাব্যের দ্বিতীয় কবিতা। ‘অগ্নিবীণা‘ কাব্যে মােট বারটি কবিতা স্থান পেয়েছে। এ কাব্যের আরাে কয়েকটি উল্লেখযােগ্য কবিতা- প্রলয়ােল্লাস (প্রথম কবিতা), রক্তাম্বরধারিনী মা, ধূমকেতু, খেয়াপারের তরণী, কামালপাশা।
৩৪।‘আগুন পাখি‘-উপন্যাসটির রচয়িতা হাসান আজিজুল হক। সমকালীন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। তার রচিত প্রথম উপন্যাস ‘শামুক। তার রচিত অন্যান্য উল্লেখযােগ্য উপন্যাস : বৃত্তায়ণ (১৯৯১), শিউলি (২০০৬) ও আগুন পাখি (২০০৬)। হাসান আজিজুল হকের পৈতৃক নিবাস বর্ধমানের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ‘আগুন পাখি” উপন্যাসের কাহিনি গড়ে উঠেছে। মানুষের সংগ্রামী জীবন। এবং বিভেদকামী রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ। উপন্যাসের পরতে পরতে বিশ্লেষিত হয়েছে।
৩৫। একুশে ফেব্রুয়ারির বিখ্যাত গানটির সুরকার হলেন আলতাফ মাহমুদ| ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ। বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ। প্রথম পর্যায়ে গানটির শিল্পী ছিলেন আবদুল লতিফ, কৃর্তমানে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়। এ গানটি মূলত সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী রচিত একটি কবিতা। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি (১৯৫৩) গ্রন্থে। পরে এটি গানে রূপ নেয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান উপস্থাপন করা হলো। এখানে পেয়েছেন ৪০ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান ২০১৯ পিডিএফ, ৪০ তম বিসিএসের ৩৫ টি প্রশ্নের পূর্ণ সমাধান ২০১৯, ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর বাংলা প্রশ্নের সমাধান, ৪০ তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন ও সমাধান। তাই আপনাদের অনুরোধে এখানে ৪০ তম বিসিএসের বাংলা অংশের পূর্ণ সমাধান দেয়া হয়েছে। বাংলার ৩৫ টি প্রশ্নের পরিপূর্ণ সমাধান আছে। ইতিমধ্যে ১০ম প্রিলিমিনারি বিসিএস পরীক্ষার বাংলা অংশের প্রশ্ন সমাধান এবং অভিনব কৌশলে ১০ম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ইংরেজির প্রশ্ন সমাধান (ব্যাখ্যাসহ), সেরা টেকনিকে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলী ব্যাখ্যাসহ সমাধান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিসিএস প্রশ্ন, চাকরির প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ৪০ তম বিসিএসের বাংলা অংশের সম্পূর্ণ সমাধান পেতে পোস্টটি ভালভাবে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ২০১৯ সালের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি টেস্ট বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন ৪০ তম বি.সি.এস ২০১৯ এর বাংলা প্রশ্নের ব্যাখ্যাসহ সমাধান পাবেন। You are here for 40th bcs bangla preliminary full solution.