কিভাবে বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য প্রস্তুতি নিবেনঃ
আমরা এখানে মডেল হিসেবে বর্তমানে ৪১ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করব। যদি কোন দূর্ঘটনা না ঘটে তাহলে আমরা ৪১ তম বিসিএস পরীক্ষা প্রিলিমিনারির ঘোষণার তারিখ ১৯ মার্চ ২০২১ ধরে রাখি তাহলে সে অনুসারে আজ থেকে ৪০ দিনের মত আমাদের হাতে আছে। যাদের ভাল প্রস্তুতি আছে তাদের জন্য এই পোস্ট না তারা চাইলে এই পোস্ট এড়িয়ে যেতে পারেন। আর যারা আবেদন করেও প্রস্তুতি নেন নি তাদের জন্য এই দরকারি পোস্ট। তারা আমার এই পোস্ট পড়ে হাত পা বেধে ৪০ দিন ভালভাবে প্রস্তুতি নিন। তাদের উচিত হাল না ছেড়ে বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য ভালভাবে প্রস্তুতি নেওয়া। এমনও অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা এ মুহূর্তে দু টানায় আছেন যে পরীক্ষা দিব কি দিব না। সে সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য আমার পক্ষ থেকে ৩টি বই পড়ার পরামর্শ দিব যা আপনাকে এই মুহূর্তে অনেক সাহায্য করবে।

আপনার যদি প্রয়োজন হয়
০১। সেরা টেকনিকে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার বাংলাদেশ বিষয়াবলী ব্যাখ্যাসহ সমাধান
০২। অভিনব কৌশলে ১০ম বিসিএস পরীক্ষার ইংরেজির প্রশ্ন সমাধান (ব্যাখ্যাসহ)
০৩। ১০ম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বাংলা অংশের ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন সমাধান
০৪। আমি যেভাবে বিসিএস (বাংলা) প্রিলিমিনারী প্রস্তুতি নিয়েছিলাম
০১। বিসিএস পরীক্ষা এর সকল প্রশ্নপত্রঃ
যেহেতু আমাদের হাতে সময় অনেক কম তাই খুবই টেকনিকে এ কদিন না পড়লে পরীক্ষায় না টেকার সম্ভাবনা বেশি। তাই আমি যেহেতু ৩টি বই পড়ার পরামর্শ দিয়েছি এর মধ্যে বিগত বছরের বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য সকল প্রশ্নপত্র চোখ বন্ধ করে ঝালাই দিতে থাকুন। একটা কথা মনে রাখবেন যারা বিগত বছরের বিসিএস পরীক্ষা এর সকল প্রশ্নপত্র না পড়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তাদের মত বোকা আর একটাও নেই। কারণ আপনি পরীক্ষার সিলেবাসই জানলেন না। তাই সিলেবাস না জেনে পরীক্ষা দেওয়া বোকামির শামিল। বিগত বিসিএসের প্রশ্ন না পড়ে বিসিএস পরীক্ষা দিতে যাওয়া মানে অনেক অনেক পিছিয়ে থেকে যাত্রা শুরু করা। এটা ভুলে গেলে চলবেনা যে, বিসিএস প্রিলিমিনারি শুধুমাত্র বাছাই পরীক্ষা সেটা পাশের পরীক্ষা নয়। এখানে একজনকে হারিয়ে টপকে যাওয়ার পরীক্ষা। কোনমতে বিসিএস পরীক্ষা তে টিকলেই হলো। আবার অন্যদিকে বিসিএস প্রিলিমিনারি কোন আহামরি বিষয় না। বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যেভাবেই হোক আগে টিকে নিবেন তারপর লিখিত পরীক্ষায় ভাল করার ব্যাপার। কারণ লিখিত পরীক্ষার উপরই আপনার ক্যাডার হওয়া বা না হওয়া নির্ভর করে। তাই বিসিএস পরীক্ষা এর সকল প্রশ্নপত্র বুঝে শুনে পড়ে এক্সাম হলে যান।
আপনি কি জানেন
০১। বর্তমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে আপনার জীবনে কোন চাকরি পারফেক্ট বা উপযুক্ত?
০২। আমি যেভাবে বিসিএস (বাংলা) প্রিলিমিনারী প্রস্তুতি নিয়েছিলাম
০২। বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য ডাইজেস্টঃ
খুব অল্প সময়ে ভাল একটা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এখনকার সময়ে সবচেয়ে উত্তম একটা উপায় হলো বাজারে প্রচলিত যেকোন প্রকাশনীর ডাইজেস্ট বই পড়া। এসব ডাইজেস্ট বই পড়া মানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের এক নজরে পড়া হয়ে যায়। তাই ডাইজেস্ট পড়া হলো উত্তম পন্থা। এখন বাজারে সচরাচর দেখা যায় অ্যাসিওরেন্স ডাইজেস্ট বই। এই বই পড়ার জন্য অনেকেই পরামর্শ দেয়। স্বল্প সময়ে ডাইজেস্ট বই পড়লে এক সাথে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
০৩। বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য বোর্ড বইঃ
যে সকল বিসিএস পরীক্ষার্থী বোর্ড বই পড়েন না তাদের মত বোকা আর নেই। এমন কোন এক্সাম নেই যেখানে হুবহু বোর্ড বই থেকে প্রশ্ন আসেনা। তাই বিসিএস পরীক্ষা এর জন্য যখন প্রস্তুতি শুরু করবেন তখন থেকেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো দাগ দিয়ে রাখতে হবে। এখন এই অল্প সময়ে ঐ দাগ দেওয়া প্রশ্নগুলি বারবার পড়তে হবে। তাহলেই এই মুহূর্তে ভাল একটা প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে যেতে পারবেন। তবে নোটবুক তৈরির বিকল্প কিছু নেই।
এক্ষেত্রে আপনার জন্য যেকোন চাকরি পেতে দরকারি ৫টি পরামর্শ
বিসিএস পরীক্ষা সন্নিকটে এলে যেভাবে প্রস্তুতি নিবেন তা সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হলো। আপনারা এখান থেকে যথাযথ পরামর্শ নিয়ে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিবেন। আবার স্মরণ করে দিচ্ছি যে, প্রলিমিনারি পরীক্ষা শুধু বাছাইয়ের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষাকে শক্তভাবে নিলে ভুল করবেন। এখানে বেশি নাম্বার পেলেও আপনাকে কেউ বীর ভাববে না। তাই শুধু নির্বাচিত হবার জন্য পরীক্ষা দিবেন তাহলেই সফল হবেন। এখানে আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত শেয়ার করলাম। আমার মতের সাথে আপনাদের মতামতের মধ্যে পার্থক্য থাকতেই পারে। যদি থেকে থাকে তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে না নেওয়ার অনুরোধ। ধন্যবাদ।