ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া

সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়াঃ

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ আজ আমরা একদমই একটা অফ টপিক এবং খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আর সেটা হলো “ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া”। এখানে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাছাইকৃত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর ইনোভেশন নিয়ে আজকের এ বিশেষ আয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া নিয়ে এই আয়োজন। Here is best presentation on innovation ideas for schools and offices of Bangladesh.
ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া
ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া

 

এই টপিক পড়তে পারেনঃ
ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া

০১। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজীকরণের জন্য সকল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে গ্রুপ ই-মেইল তৈরি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। এটি শুধুমাত্র একটি সরকারী কর্মসূচি নয়, সাধারণ মানুষের কর্মসূচি। দেশের সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশের মানুষ ইতোমধ্যেই এই কর্মসূচির সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তৃণমূল পর্যায় থেকে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকারতথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে নতুন শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছেজেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে একটি গ্রুপ ই-মেইল চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জনগণের সাথে সকল সরকারি-বেসরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকদের সাথে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ করার জন্য গ্রুপ ই-মেইল চালু করা হয়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নয়ন-অগ্রতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির উদ্ভাবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি লাভ করেছে এবং মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি ও নানা উদ্ভাবনের হাত ধরে পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে জনসাধারণের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ উদ্দেশ্যে গঠিত এই ইনোভেশনের সুফল পেয়ে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান যে, “সকল প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে গঠিত গ্রুপ ই-মেইল আমাদের অনেক উপকারে এসেছে। বিশেষ করে একজন প্রধান শিক্ষক কোন খবর জানলে তিনি সাথে সাথে গ্রুপ ই-মেইলে জানিয়ে দেয়। এতে পরীক্ষার নোটিশ সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকারের অনেক খবর প্রধান শিক্ষকগণ সাথে সাথে জেনে যায়।

জেলা প্রশাসক জানান যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান শর্ত হল জনগণের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা। এতে সরকারি-বেসরকারি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে গ্রুপ ই-মেইল চালু করা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশুনার মান আগের চেয়ে আরো উন্নত হবে। ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকের হয়রানি কমে যাবে। শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকগণ ছুটির দিনেও ঘরে বসে বিভিন্ন পরীক্ষার খবর জানতে পারবেন।

০২। হাতের মুঠোই সকল সরকারি সেবা” ইনোভেশন কার্যক্রম প্রচারণা

হাতের মুঠোই সকল সরকারি সেবা” ইনোভেশন কার্যক্রম প্রচারণা এর কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণের জন্য ইনোভেশন টিমের সকল সদস্যকে আহবান জানানো হয়েছেএতে বলা হয় যে, প্রতিটিজেলার রেকর্ড রুম হতে খতিয়ান পাওয়ার জন্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও নির্ধারিত ফি পেমেন্ট করার কোন সুযোগ ছিলনা। কোন সেবা গ্রহীতা/ ইউডিসির উদ্যোক্তা অনলাইনে খতিয়ানের জন্যে আবেদন করতেন না। পাশাপাশি বিদ্যমান ব্যবস্থায় একজন সেবাগ্রহিতাকে ১টি খতিয়ান প্রাপ্তির জন্যে অঞ্চলভেদে আসা-যাওয়াসহ ৫০০-১০০০ টাকা খরচ হত এবং একটি খতিয়ান পেতে ৭ দিন থেকে ১৫ দিন সময় লাগত।

জেলা প্রশাসক জানান যে, খতিয়ান প্রদান সেবা সহজতর ও যথাসময়ে সেবা গ্রহীতার কাছে পৌঁছানোর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমে নির্ধারিত ফি পেমেন্ট করার উদ্যোগ নেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের সার্ভারে বিদ্যমান অনলাইন সিস্টেমের সাথে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ROCKET মোবাইল ব্যাংকিং Integrate করে প্রতিটি ইউডিসির মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ ও নির্ধারিত ফি পেমেন্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একজন সেবাগ্রহীতা তার ইউনিয়নের ইউডিসির উদ্যোক্তার কাছে প্রতিটি খতিয়ানের জন্য ১০০ টাকা প্রদান করেন। উদ্যোক্তা ৫০ টাকা তার সম্মানী বাবদ রাখেন বাকী ৫০ টাকা ডাচ বাংলা ব্যাংকের ROCKET মোবাইল ব্যাংকিং এর নির্ধারিত একাউন্টে জমা করেন। প্রতিটি আবেদনের জন্য ব্যাংক ৫ টাকা কেটে রাখে। বাকী টাকা হতে সরকারী ফি বাবদ ২২/- টাকা, খতিয়ান প্রেরণের জন্য খামসহ ডাকটিকেট খরচ ১৪/- টাকা এবং আনুষাঙ্গিক খরচ ৯/- টাকা সর্বমোট ৫০/- টাকা দাপ্তরিক খরচ হয়।

জেলা প্রশাসক আরো জানান যে, এই আইডিয়া বাস্তবায়নের আগে একটি খতিয়ান নিতে একজন লোকের ৭-১৫ দিন সময় লাগত এতে ৫০০-১০০০/- টাকা খরচ হত এবং ২ দিন যাতায়াত করতে হত। তবে আইডিয়া বাস্তবায়নের পর এই হার অনেকাংশে কমে এসেছে। আইডিয়া বাস্তবায়নের পর একটি খতিয়ান নিতে একজন লোকের ১-৩ দিন সময় লাগে এবং এতে মাত্র ১০০/- টাকা খরচ হয়।

Read More :   বিসিএস ও অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নোটখাতা বা হ্যান্ডনোটের প্রয়োজনীয়তা

দেশের সকল UDC এটি ব্যবহার করে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা দিতে পারবে। যেহেতু উদাবনী উদ্যোগটিতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও নির্ধারিত ফি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রদানের সুযোগ রয়েছে, সেহেতু খতিয়ান প্রদান সেবা কার্যকর দ্রুততর করার জন্য ইনোভেশন টিমের সকল সদস্যদের অনুরোধ জানানো হয়েছে

০৩। One Officer One School”-স্কুলের লাইব্রেরী সুসজ্জিতকরণ ইনোভেশন বাস্তবায়ন

জেলা প্রশাসক One Officer One Schoolএর কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণের জন্য সকলকে আহবান জানান। এ কার্যক্রমের অধীনে নওগাঁ জেলায় প্রতিটি অফিসের অফিসারের অধীনে একটা স্কুল থাকবে। প্রতিটি অফিসারের দায়িত্ব ও কর্তব্য হবে তাঁর অধীনে স্কুলগুলোর তদারকি করা। প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শ্রেণী কক্ষ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে, এই উদ্দেশ্যে “One Officer One School” ইনোভেশন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং One Officer One School ইনোভেশন বাস্তবায়ন করার জন্য সদয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

জেলা ইনোভেশন টিমের সকল সদস্যকে একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকি করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় । এই ইনোভেশন কার্যক্রম শুরু করার পর প্রতিটি স্কুলের লাইব্রেরী সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরী তে পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। স্কুলের লাইব্রেরী সুসজ্জিত করার পূর্বে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরীতে পড়ার জন্য মনোযোগ দিতে পারত না। স্কুলের লাইব্রেরীতে সামাজিক এবং রাজনৈতিক ছবির পোস্টার লাগানো থাকত। এই ইনোভেশন কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে লাইব্রেরীর দেওয়ালে বিখ্যাত লেখকের উক্তি সুন্দর ভাবে অলংকৃত করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ ফিরে পেয়েছে। পড়াশুনার মান উন্নয়নে লাইব্রেরী অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে হলে লাইব্রেরী এমনভাবে সাজিয়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে একজন শিক্ষার্থী অনায়াসে তার পাঠ বুঝতে পারে। পাঠ সহায়ক উপকরণের সহায়তায় বেশ জটিল বিষয়কেও সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট ও বোধগম্য করে তোলা যায়। লাইব্রেরীতে পঠন-পাঠন আকর্ষণীয়, গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করতে হলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী। শিক্ষার্থীদের সামনে কঠিন ও দুর্বোধ্য বিষয়গুলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উপকরণের সহায়তায় উপস্থাপন করতে পারলে তারা অতি সহজেই অনুধাবন করতে পারে এবং দীর্ঘকাল তা শিক্ষার্থীর মনে টিকে থাকে।

০৪। “My Campus My Pride ইনোভেশন বাস্তবায়ন

“My Campus My Pride” ইনোভেশনের আওতায় প্রতি বৃহস্পতিবার স্কুল ক্যাম্পাসগুলো শেষ ঘণ্টায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ছাত্র-ছাত্রীর স্বাস্থ্য, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ইত্যাদি তদারকি করার দায়িত্ব পালন করবেন স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষার বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে হলে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে সাজিয়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে একজন শিক্ষার্থী অনায়াসে তার পাঠ বুঝতে সক্ষম হোন এবং পাঠ সহায়ক উপকরণের সহায়তায় বেশ জটিল বিষয়কেও সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট ও বোধগম্য করে তোলা যায়। শিক্ষার্থীদের সামনে কঠিন ও দুর্বোধ্য বিষয়গুলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য উপকরণের সহায়তায় উপস্থাপন করতে পারলে তারা অতি সহজেই অনুধাবন করতে পারে এবং দীর্ঘকাল তা শিক্ষার্থীর মনে টিকে থাকে। আদর্শ ক্যাম্পাস গড়ে তোলাই “My Campus My Pride” এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এ কার্যক্রমের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীর স্বাস্থ্য, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, স্যানিটেশন ইত্যাদি তদারকি করার দায়িত্ব পালন করবেন স্কুলের শিক্ষকরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমিটির সদস্যরা এ ইনোভেটিভ আইডিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তাঁরাও স্বাচ্ছন্দ্যে এতে অংশগ্রহণ করছেন। পড়াশুনার মান উন্নয়নে শ্রেণিকক্ষ অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে হলে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে সাজিয়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে একজন শিক্ষার্থী অনায়াসে তার পাঠ বুঝতে পারে। পাঠ সহায়ক উপকরণের সহায়তায় বেশ জটিল বিষয়কেও সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট ও বোধগম্য করে তোলা যায়। শ্রেণীকক্ষে পঠন-পাঠন আকর্ষণীয়, গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করতে হলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী।

০৫। “হাতের মুঠোই সকল সরকারি সেবা”

বর্তমানে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। দেশ ডিজিটালাইজেশনের ফলে সরকারি সেবা পাওয়া অনেকটা সহজ থেকে সহজতর হয়েছে। তাই হাতের মুঠোই সকল সরকারি সেবা পেতে সরকার জনগণের কাজকে সহজ করার জন্য কিছু জরুরি ফোন নাম্বার চালু করা হয়েছে। যেমন জাতীয় জরুরি সেবা (৯৯৯), স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩), নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল (১০৯ বা ১০৯২১), চাইল্ড হেল্প লাইন (১০৯৮), সরকারি আইন সেবা (১৬৪৩০), জাতীয় পরিচয়পত্র (১০৫), বিটিআরসি (১০০), বাংলাদেশ ব্যাংক (১৬২৩৬), দুদক (১০৬), ইউনিয়ন পরিষদ হেল্প লাইন (১৬২৫৬), কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩), বিটিসিএল (১৬৪০২), দুর্যোগের আগাম বার্তা (১০৯৪১), প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার (০৯৬৫৪৩৩৩৩৩৩), ঢাকা ওয়াসা (১৬১৬২) ইত্যাদি জরুরি ফোন নাম্বারগুলো প্রতিটি অফিসের নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করার জন্য সদয় অনুরোধ করা হয়েছে।

০৬। “Paint Your Office

প্রতিটি সরকারি অফিসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন করাই হলো এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। নিজের অফিসকে একটি নতুন রং চিত্রিত করে নিজের টিমের কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণে জোর দেওয়া। এতে বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন মনোবলকে বাড়িয়ে তুলবে, উৎপাদনশীলতা উন্নত করবে এবং কাজের গতি বেড়ে যাবে। এই ইনোভেশন কার্যক্রম জোরদার করতে প্রতিটি কর্মকর্তাদের অধীনে নিজ নিজ অফিস সুসজ্জিত করে তোলার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

Read More :   গণিতের শর্টকাট টেকনিক pdf ২০২২ (১০০% সফল হবেন)

০৭। My class My pride

প্রত্যেকটি সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শ্রেণী কক্ষ যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে তাই নিজের ক্লাশরুমকে নিয়ে যেন সবাই অহংকার করতে পারে, এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক “My Class My pride” স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিটি শ্রেণীকক্ষে পড়ার পরিবেশ উপযোগী করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন।

“My Class My pride” ইনোভেশন কার্যক্রম শুরু করার পূর্বে প্রতিটি ক্লাশরুম পড়াশুনার উপযোগী ছিলনা। শ্রেণীকক্ষে অনেক ময়লা আবর্জনা থাকত। শ্রেণীকক্ষের দেয়ালে দেয়ালে শিক্ষা বহির্ভূত লেখা থাকত, যা ছাত্র-ছাত্রীদের কোন শিক্ষা দেয়না। প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ অপ্রাসঙ্গিক লেখালেখিতে পূর্ণ থাকত। বাহির থেকে কোন মানুষ পরিদর্শন করতে গেলে সেই শ্রেণীকক্ষকে পড়াশুনার ঘর মনে করত না। প্রতিটি শ্রেণীকক্ষ পড়াশুনার অনুপযোগী ছিল। যাতে শিক্ষার মান বজায় রাখা অনেক দূরহ ব্যাপার হয়ে যেত।

জেলা প্রশাসক মহোদয় জানান যে, পড়াশুনার মান উন্নয়নে শ্রেণিকক্ষ অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীর কাছে আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে হলে শ্রেণিকক্ষ এমনভাবে সাজিয়ে তোলা প্রয়োজন, যাতে একজন শিক্ষার্থী অনায়াসে তার পাঠ বুঝতে পারে। পাঠ সহায়ক উপকরণের সহায়তায় বেশ জটিল বিষয়কেও সহজে শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্ট ও বোধগম্য করে তোলা যায়। শ্রেণীকক্ষে পঠন-পাঠন আকর্ষণীয়, গ্রহণযোগ্য ও ফলপ্রসূ করতে হলে প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে

বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে, মাঠে, পুকুরে, বাগানে, নিকটস্থ হাটবাজারে এমন কিছু জিনিসপত্র অহরহই পাওয়া যায়, যা শিক্ষক নিজে কিংবা শিক্ষার্থীদের দিয়ে সংগ্রহ করে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার করে সমাজ পাঠ, সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, বাংলা, আরবি ভাষা, কৃষিবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ের পাঠদানকে বাস্তবভিত্তিক, আকর্ষণীয় ও সহজবোধ্য করে তুলতে পারেন। অনেক সময় তাৎক্ষণিভাবে কোন জিনিসের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দেয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে বাস্তব জিনিসের মডেল তৈরি করে তা শ্রেণীতে প্রদর্শন করা যেতে পারে। শহীদ মিনার, তাজমহল, পিরামিড, সৌরজগৎ, মানুষের দেহের অভ্যন্তরস্থ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মডেল তৈরি করে দেখালে শিক্ষার্থীরা বাস্তবের কাছাকাছি অভিজ্ঞতা অর্জন করে সহজেই পাঠ্যবিষয় অনুধাবন করতে পারবে এবং প্রচুর আনন্দও পায়। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে “My Class My pride” ইনোভেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

বাংলাদেশের অনেক প্রধান শিক্ষক গর্ব করে বলেছেন যে, “My Class My pride” চালু করায় আগের থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় মনোযোগী হয়েছে। এতে পড়াশুনার মান আরও উন্নত হয়েছে। এই ইনোভেশন কার্যক্রম চালু করার পর থেকে পরীক্ষার ফলাফলে অভাবনীয় সাফল্য দেখা যাচ্ছে।” বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষার্থী জানান যে, “আমরা শ্রেণীকক্ষ শিক্ষকদের সহায়তায় পড়ার উপযোগী করে তুলেছি। প্রত্যেকটি শ্রেণিকক্ষের দেয়াল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রপসী বাংলার কবি জসিম উদ্দীন সহ আর বিশ্বখ্যাত কবি সাহিত্যিকের মহা মূল্যবান উদ্ধৃতি দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ ফুল এবং বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এতে পড়াশুনার প্রতি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়ছে।”

০৮। সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচীঃ

প্রতিটি জেলায় অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচী চালু করা হয়েছে। সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় সমাজের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে “সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচী” গঠন করা হয়েছে।

সভায় অবহিত করা হয় যে, “মানুষের দুঃখ দেখে কেউ যদি তার বিপদে কেউ এগিয়ে না আসে তবে সেও একদিন বিপদে পড়বে তখন তার কান্না কেউ শুনবে না” এমন উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচী চালু করা হয়েছে সমাজের অবহেলিত মানুষগগুলোকে সঠিক রাস্তা দেখানোই সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচীর প্রথম কাজ। একতাবদ্ধ হয়ে সমাজের কিছু অসংগতি নিয়ে কাজ করা। একটি অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতন করা। মানুষের পাশে থেকে মানুষের দু:দুর্দশা, সুবিধা- অসুবিধা সরকারের নজরে এনে কাজ করতে এগিয়ে যাওয়া। নিজের ইতিহাস ঐতিহ্য সবার সামনে উপস্থাপন করা, শিক্ষার হার বাড়াতে, কর্মসংস্থান গড়তে, জনশক্তি তৈরী করতে, জনসংযোগ তৈরী করতে একতাবদ্ধ হওয়া এবং সবাই মিলে কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং ক্ষেত্র বিশেষে সরকারের নজরে এনে সরকারের কাছ থেকে কাজ করিয়ে নেওয়া। গরীব মেধাবী মানুষগুলোকে কাজে লাগানো।

জেলা প্রশাসক জানান যে, মূলতঃ যখন একজন মানুষ জীবনযাত্রার ন্যূনতম মান অর্জনে এবং স্বল্প আয়ের কারণে জীবনধারণের অপরিহার্য দ্রব্যাদি ক্রয় করার সক্ষমতা হারায়, অসচ্ছল মানুষের মৌলিক চাহিদা গুলোর কোন একটি অপূর্ণ থাকা, মৌলিক চাহিদা অপূর্ণ রেখে জীবন যাপন করা। সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচীর অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজই হল সমাজের উন্নতি সাধন। এরই ধারাবাহিকতায়, প্রতিটি গ্রামে/পাড়া/মহল্লায় তল্লাসি চালিয়ে সমাজের অতি দরিদ্র জনগণকে খুঁজে বের করা হয়যাদের কোনো সহায়সম্পদ নেই, যারা প্রয়োজনীয় খাদ্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারে না, ক্ষুধাতুর অবস্থায় জীবনযাপন করে, যাদের একবেলা খাবার যোগাড় করতে মানুষের কাছে হাত পাততে হয়, যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরে যায়, যাদের পরিবারের ভরণপোষণ চালাতে অন্যের দ্বারস্ত হতে হয়, যাদের একখন্ড চাষাবাদের জমি নেই, যাদের রাতটুকু থাকার জন্য অন্যের বাড়িতে ঠাঁই নিতে হয়, এমন জনগোষ্ঠী সামাজিক পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতাভূক্ত।

Read More :   সরকারি চাকরির জন্য বাংলা ব্যাকরণ হ্যান্ডনোট সংগ্রহ করুন | হ্যান্ডনোট ব্যবহার করার উপকারিতা

সম্মানিত জেলা প্রশাসক মহোদয় জানান যে, এতে ১০ জন ভিক্ষুক এবং একজন শিক্ষিত বেকারকে মোট ৩০০ টি হাঁস প্রদান করা হয়েছে। এর তত্ত্বাবধানে থাকবেন () জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা; () জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, () চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদহাঁসের ডিম দেওয়া শুরু থেকে এক মাস পর্যন্ত সময়ে এই ১১ জনকে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাঁসের ডিম দেওয়া শুরুর এক মাস পর থেকে ডিম বিক্রির অর্থ দ্বারা হাঁসের খাবার এবং এই ১১ টি পরিবারের খাবার যোগান চলবে। এছাড়া ১১ জন বেকার অস্বচ্ছল মহিলাকে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহায়তায় বিভিন্ন মেয়াদে সেলাই শিক্ষা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে এবং তাদের প্রত্যেককে একটি করে ছাগল দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা সেলাই কর্ম করে এবং ছাগল প্রতিপালন করে সেখান থেকে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে।

০৯। হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে দলিল ফেরত প্রদান সহজীকরণঃ

সাব রেজিস্ট্রি অফিসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত এটুআই প্রোগ্রামের উদ্যোগে একটি ইনোভেশন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন বিষয়ক কার্যক্রম হিসেবে অফিস গেটের সামনে দিক নির্দেশনামূলক চার্ট তৈরি এবং দলিল রেজিস্ট্রি সহজীকরণে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়। সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল নিবন্ধন করতে আসা অনেকে জানেন না কিভাবে দলিলটি নিবন্ধন সহজে করা সম্ভব। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দলিল সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনগত দিক সম্পর্কেও তারা ওয়াকিবহাল থাকেন না। উদাহরণ স্বরুপ হেবার ঘোষণা দলিল কোন কোন আত্নীয় সম্পর্কের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে ইত্যাদি তথ্য। দলিল নিবন্ধন সংক্রান্ত এ ধরণের তথ্য ঘাটতির কারনে একজন সেবা প্রার্থীর সময় ব্যয় হওয়ার পাশাপাশি টাকা খরচ হয়। এছাড়াও তাকে বারবার অফিসে আসতে হয়। অর্থাৎ TCV (Time, Cost, Visit) কার্যক্রম ব্যাহত হয়। কিন্তু বর্তমানে অফিসে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করায় এর সহায়তায় একজন সেবা প্রার্থী যেমন অনায়াসে তথ্য পাচ্ছেন তেমনি সহজেই দলিল নিবন্ধন করতে পারছেন। অফিস গেটের সামনে দিক নির্দেশকমূলক চার্ট থাকায় একজন সেবা প্রার্থীকে আর অফিস সংক্রান্ত বিষয়ে বিভ্রান্ত হতে হচ্ছে না। কারণ সেবা প্রার্থী সহজে বুঝতে পারেন হেল্পডেস্কটি কোথায়, সিটিজেন চার্টারটি কোথায় কিংবা অফিসের সেবামূলক কাঠামোগুলো কোন দিকে ইত্যাদি।

উল্লেখ্য যে, হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে যে সেবাগুলো দেওয়া হয় দলিল ফেরত প্রদান তার মধ্যে অন্যতম। একজন সেবাপ্রার্থীকে মূল দলিল ফেরত পেতে উৎকণ্ঠা ও চিন্তায় থাকতে হয়। কারণ যথা সময়ে এবং প্রয়োজনীয় সময়ে মূল দলিল কপি একটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এ জন্যে সেবা প্রার্থীকে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার তথ্য পেতে বারবার অফিসে আসতে হয়। এতে সময় নষ্ট হয় , টাকা খরচ হয় এবং হয়রানী হতে হয়। বর্তমানে ইনোভেশন কর্মসূচীর অংশ হিসাবে দলিল ফেরত প্রদানের রশিদের অপর পৃষ্ঠায় অফিসের টেলিফোন নাম্বার লিখে দেওয়া হচ্ছে। এতে একজন সেবা প্রার্থী ফোন করে সহজেই জানতে পারছেন তার দলিল টি কখন ফেরত পাবেন। ফলে তার সময়, শ্রম ও অর্থ বেচে যাচ্ছে এবং পাশাপাশি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ভিজিট কমে যাচ্ছে। সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে অত্রাফিসে বিদ্যমান ইনোভেশন কার্যক্রমটির মাধ্যমে সেবা প্রার্থীর TCV (Time, cost, visit) সফলভাবে ফলপ্রসূ হচ্ছে।

১০। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগঃ

পড়াশুনার মানোন্নয়নে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বিষয়ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়। এসব স্কুলে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বিষয়ে সর্বমোট ৫৭ জন বিনা বেতনে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীর সৃজনশীল শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সাহায্য হচ্ছে। নির্দিষ্ট শিক্ষকের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ হওয়াতে পড়াশুনার মান দিনদিন বাড়ছে। এতে অভিভাবকেরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট। জিলা স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা জানান যে, স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করাতে লেখাপড়ার মান আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা এতই খুশি যে তারা এই মহৎ কার্যক্রমের প্রশংসা না করে পারছেনা। স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাশে আসত না। কিন্তু বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকরা নতুন আঙ্গিকে পাঠদান করায় ক্লাশে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেড়েছে এবং শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় মনোযোগ হয়েছে।

অন্যদিকে বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং আবেগাপ্লুত। তাদের ধারণা যে এ কার্যক্রম যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এ জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নত হবে এবং তারা নতুন যোগদানকৃত স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের উপর অনেকাংশে ভরসা করতে পারছেন যে, তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে বাড়তি টেনশন করতে হবেনা। তারা আরো ধারণা পোষণ করেন যে, এমন মহৎ উদ্যোগে চালিত এ উদ্ভাবন যদি আগে আসত তাহলে তাদের ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে চিন্তা করতে হতনা। শিক্ষক নিয়োগ হওয়াতে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ করার স্পৃহা বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক আত্নবিশ্বাসী যে সারা বাংলাদেশে তারা তাদের স্কুলকে সেরা স্কুল হিসেবে গড়ে তুলবে। তারা মনে করেন যে এরকম উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাংলাদেশের কোন জেলায় নেই। অভিভাবক আশাবাদী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাঁদের (শিক্ষকদের) কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ফল পাবে।

১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া সম্পর্কে শেষ কথাঃ

পরিশেষে বলা যায় যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে “ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া” কার্যক্রম অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখবে। প্রতিটি ইনোভেশন বাংলাদেশের নাগরিকের সুফল বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হয়েছে। নাগরিকদের পাশাপাশি স্কুল, কলেজের ইনোভেশনগুলোও শিক্ষা পরতিষ্ঠানের পড়াশুনার মান উন্নয়নে যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে বলা আশা করা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশের সেরা ১০ টি ইনোভেশন আইডিয়া নিয়ে এই আয়োজন। Here is best presentation on innovation ideas for schools and offices of Bangladesh.