সংবিধান মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক। আজ আপনাদের জন্য থাকছে সংবিধান মনে রাখার শর্টকাট টেকনিক। সংবিধান মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান থেকে সব ধরনের পরীক্ষায় প্রায় সবসময়য়ই প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। কিছু শর্টকাট টেকনিক ফলো করলে সহজেই আপনি সংবিধান মনে রাখতে পারবেন। চলুন জেনে নেই সংবিধানের সংশোধনী মনে রাখার কৌশল | ছন্দে ছন্দে সংবিধান pdf সহ। [ads1] তাই আপনারা এখানে সংবিধানের শর্ট টেকনিক, সংবিধান সম্পর্কিত প্রশ্ন pdf, ছন্দে ছন্দে সংবিধান pdf, সংবিধান mcq pdf, সংবিধান সংশোধন পিডিএফ, বাংলাদেশের সংবিধান, সংবিধানের তফসিল pdf, সংবিধান সংশোধনী, সংবিধান মনে রাখার কৌশল, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধান pdf ২০২১, ২০২২ , সংবিধানের শর্ট টেকনিক, সংবিধান মডেল টেস্ট, সংবিধানের ভাগ: ১১টি বিষয় সম্পর্কে পাবেন।

[ads1]
ছন্দে ছন্দে সংবিধান এর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার করনীয়ঃ
১। প্রথমেই ছন্দে ছন্দে সংবিধান প্রনয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য মনে রাখুন যেমন-কবে সংবিধান প্রনয়ন কমিটি গঠন করা হয়, কতজন সদস্য ছিলেন, একমাত্র মহিলা সদস্যের নাম, তখনকার আইনমন্ত্রী এবং সংবিধান প্রনয়ন কমিটির সভাপতি, কতটি মীটিং করেছিলেন তারা, কতদিন লেগেছিল সংবিধান প্রনয়ন করতে, কবে এটি কার্যকর হয়, কে এতে সাক্ষর করেন নি ইত্যাদি। এই তথ্য গুলো আপনি রচনামূলক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ব্যবহার করতে পারবেন।
[ads1]
২। এরপর জেনে নিন সংবিধানের ভাগ গুলো এবং এই ভাগের মধ্যকার অনুচ্ছেদ গুলো। যেমন-
প্রথম ভাগ- প্রজাতন্ত্র (অনুচ্ছেদ- ১ থেকে ৭)
দ্বিতীয় ভাগ- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (অনুচ্ছেদ- ৮ থেকে ২৫)
এইভাবে আপনি ১১টি ভাগের অনুচ্ছেদগুলো মনে রাখুন। এই তথ্য গুলো আপনাকে অনেক সাহায্য করবে। কোন কারনে যদি ভুলে যান, সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ এ কি আছে তখন কমপক্ষে ধারনা করতে পারবেন কোন ভাগে এটি পড়েছে।
৩। এরপর প্রত্যেক অনুচ্ছেদ এর শিরোনাম গুলো মুখস্ত করুন।
৪। এরপর অনুচ্ছেদ গুলো ভালভাবে পড়ুন। বার বার পড়ুন। কোন বন্ধুর সাথে আলাপ করুন “বলতো আইনের দৃষ্টিতে সমতা এটি কোন অনুচ্ছেদ এ আছে?” প্রথম বার না পারলেও সমস্যা নেই। আস্তে আস্তে দেখবেন আপনি ঠিকই বলতে পারছেন।
৫। নিজে নিজে একাকী মনে করার চেষ্টা করুন কোন অনুচ্ছেদ এ কি আছে। ভুলে গেলে ভাববেন না সব শেষ। বরং চিন্তা করবেন আরো ভালো ভাবে পড়তে হবে!! সব সময় হাতের কাছে পকেট এডিশনের সংবিধান সাথে রাখুন। গল্পের বই (!!!!!!) মনে করে পড়ুন।।
কী পড়তে হবে- এই বিষয়ে অনেক কিছু বললাম। এই বার আসি মূল আলোচনায়।
আমি হুবহু মুখস্ত করার জন্য প্রথমেই বলব প্রস্তাবনাটাকে। কারন এই প্রস্তাবনা অনেক বার সংশোধিত হয়েছে। আবার, সংবিধান নিয়ে প্রশ্ন আসলে চেষ্টা করবেন ভূমিকা হিসেবে কোটেশন আকারে এটি ব্যবহার করতে। যেহেতু মুখস্ত করেছেন সেহেতু কোটেশন হিসেবে দেয়ার সময় অবশ্যই নীল রঙের কালি ব্যবহার করবেন। পরীক্ষক কে বুঝান যে সংবিধান টা আপনি পড়েছেন বেশ ভালো (!!!) করে।
ছন্দে ছন্দে সংবিধান মুখস্ত করে ফেলি-
[ads1]
“আমরা, বাংলাদেশের জনগন, ১৯৭১ খ্রীস্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষনা করিয়া জাতীয় মুক্তির (স্বাধীনতা) জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের (যুদ্ধের) মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি”
[আগ্রহী পাঠকগন হয়ত খেয়াল করবেন আমি বন্ধনীর মধ্যে ২টি শব্দ ব্যবহার করেছি। কারন সংবিধান সংশোধন করে এই শব্দ গুলো একবার যোগ হয়েছে ও একবার প্রতিস্থাপিত হয়েছে]
☼ আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগনকে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের (স্বাধীনতার) জন্য যুদ্ধে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রানোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল সর্বশক্তিমান আল্লাহের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্র অর্থাৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুবিচারের সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে। [আমার কাছে এই মুহূর্তে ১৫তম সংশোধনীর পরের সংবিধান টা নাই বলে আগ্রহী পাঠকরা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুসারে এটা ঠিক করে নিবেন। এই রকম হবার কথা- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা-সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে।]
সংবিধানের ১১টি ভাগ মনে রাখার উপায়ঃ
[ads1]
☼ প্র রা মৌ নি আ বি নি ম বাং জ সং বি
আসুন, মিলিয়ে নেই-
১। প্র- প্রজাতন্ত্র
২। রা-রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
৩। মৌ- মৌলিক অধিকার
৪। নি- নির্বাহী বিভাগ
৫। আ- আইন সভা
৬। বি- বিচার বিভাগ
৭। নি- নির্বাচন
৮। ম- মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
৯। বাং- বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
৯ক। জ- জরুরী বিধানাবলী
১০। সং-সংবিধান সংশোধন
১১। বি- বিবিধ
চলুন, এইবার আলাদা ভাবে অনুচ্ছেদ গুলোর দিকে দৃষ্টি দেই।
অনুচ্ছেদ ১-১২
[ads1]
অনুচ্ছেদ ১-১২ মোটামুটি এমনি মনে থাকে। এই অনুচ্ছেদ গুলোর মধ্যে গুরুত্তপূর্ন অনুচ্ছেদ গুলো হল-
২- প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা
২ক- রাষ্ট্রধর্ম ( মনে রাখবেন কোন সংশোধনীর মাধ্যমে এটি হয়েছে)
৪ক- প্রতিকৃতি (১৫ তম সংশোধনীতে পরিবর্তন হয়েছে এখানে)
৬- নাগরিকত্ব
৭- সংবিধানের প্রাধান্য
৮- মূলনীতিসমূহ ( সংবিধান সংশোধন হয়েছে এইখানে)
৯- স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের উন্নয়ন ( সংবিধান সংশোধন হয়েছে এইখানে)
১০- জাতীয় জীবনে মহিলাদের অংশগ্রহন
১১- গনতন্ত্র
১২- ধর্মনিরপেক্ষতা ( সংবিধান সংশোধন হয়েছে এইখানে)
অনুচ্ছেদ ১৩-২৫
[ads1]
অনুচ্ছেদ ১৩ থেকে অনুচ্ছেদ ২৫ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ মালি কৃষককে মৌ গ্রামে নিয়ে গিয়ে অবৈতনিক জনস্বাস্থ্যের জন্য সুযোগের সমতা সৃষ্টি করে। এতে অধিকার ও কর্তব্য রূপে নাগরিকরা নির্বাহী বিভাগ থেকে জাতীয় সংস্কৃতি ও জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের জন্য আন্তর্জাতিক শান্তির অংশীদার হলেন।
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
১৩-মালি- মালিকানার নীতি
১৪-কৃষক- কৃষক ও শ্রমিকের মুক্তি
১৫- মৌ- মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা
১৬- গ্রাম- গ্রামীন উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব
১৭- অবৈতনিক- অবৈতনিক ও বাধ্যতা মূলক শিক্ষা
১৮। জনস্বাস্থ্য- জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা
১৯। সুযোগের সমতা- সুযোগের সমতা
২০- অধিকার ও কর্তব্য রূপে- অধিকার ও কর্তব্য রূপে কর্ম
২১- নাগরিক- নাগরিক ও সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য
২২- নির্বাহী বিভাগ থেকে- নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরন
২৩- জাতীয় সংস্কৃতি- জাতীয় সংস্কৃতি
২৪- জাতীয় স্মৃতি নিদর্শন -জাতীয় স্মৃতি নিদর্শন প্রভৃতি
২৫-আন্তর্জাতিক শান্তি- আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন
এইখানে একটি কথা বলতেই হবে। যদি পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি গুলো সংবিধানের আলোকে আলোচনা করুন অনেকেই শুধু অনুচ্ছেদ-৮ এর “মূলনীতি সমূহ” দিয়ে আসে। মনে রাখতে হবে দ্বিতীয় ভাগে বর্নিত অনুচ্ছেদ- ৮ থেকে অনুচ্ছেদ-২৫ সব –ই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি। অনুচ্ছেদ ৮ এ বর্নিত “মূলনীতি সমূহ” আসলে সংবিধানের মূলনীতি যা প্রস্তাবনায় বলা আছে। আরেকটি কথা এখানে বলব ঝেহেতু এই প্রশ্নটির উত্তর অনেক বড় হবে সেহেতু, আপনি অনুচ্ছেদ ৮ এ বর্নিত মূলনীতি সমূহ একটু বেশী আলোচনা করে অন্য অনুচ্ছেদ গুলো শুধু নাম লিখে ১ /২ লাইনের মধ্যে লেখা শেষ করবেন। সময়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। একটি ভালো পারেন দেখে শুধু সেই প্রশ্নের উত্তর অনেক বড় করে দিবেন, সেটা করলে দেখবেন আপনি সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছেন না। আর যাদের হাতের লেখা একটু স্লো, তাদের তো এটা আরো ভাল করে মনে রাখতে হবে।
অনুচ্ছেদ- ২৬ থেকে ৩১
[ads1]
অনুচ্ছেদ ২৬ থেকে অনুচ্ছেদ ৩১ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ মৌলিক অধিকার আইনের দৃষ্টিতে ধর্ম , সরকারী নিয়োগ ও বিদেশী খেতাব গ্রহনে সকলের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
২৬-মৌলিক অধিকার- মৌলিক অধিকারের সহিত অসামঞ্জস্য আইন বাতিল
২৭-আইনের দৃষ্টিতে – আইনের দৃষ্টিতে সমতা
২৮- ধর্ম- ধর্ম প্রভৃতি কারনে বৈষম্য
২৯- সরকারী নিয়োগ- সরকারী নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা
৩০- বিদেশী খেতাব গ্রহনে- বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহন নিষিদ্ধকরন
৩১। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার – আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৩২ থেকে ৩৫
অনুচ্ছেদ ৩২ থেকে অনুচ্ছেদ ৩৫ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
[ads1]
☼ জীবনে ১বার গ্রেপ্তার হলে জবরদস্তি বিচার হয়
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৩২-জীবনে- জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার রক্ষণ
৩৩-গ্রেপ্তার – গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ
৩৪- জবরদস্তি- জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরন
৩৫- বিচার- বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে রক্ষণ
৩০- বিদেশী খেতাব গ্রহনে- বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহন নিষিদ্ধকরন
৩১। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার – আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার
অনুচ্ছেদ- ৩৬ থেকে ৩৯
[ads1]
অনুচ্ছেদ ৩৬ থেকে অনুচ্ছেদ ৩৯ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ চসমা সংবা(দ)ক
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৩৬-চ-চলাফেরার স্বাধীনতা
৩৭-সমা – সমাবেশের স্বাধীনতা
৩৮- সং- সংগঠনের স্বাদহীনটা
৩৯- বাদ(ক)- চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা
☼ অনুচ্ছেদ- ৪০ থেকে ৪৩
[ads1]
অনুচ্ছেদ ৪০ থেকে অনুচ্ছেদ ৪৩ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ পেধসগৃ
চলুন দেখি ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৪০-পে-পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা
৪১-ধ – ধর্মীয় স্বাধীনতা
৪২- স- সম্পত্তির অধিকার
৪৩- গৃ- গৃহ ও যোগাযোগের রক্ষণ
☼ অনুচ্ছেদ- ৪৮ থেকে ৫৪
[ads1]
অনুচ্ছেদ ৪৮ থেকে অনুচ্ছেদ ৫৪ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমার মেয়াদে দায়মুক্তি পেতে অভিসংশন ও অপসারনের ক্ষমতা স্পীকার কে দিলেন।
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৪৮-রাষ্ট্রপতি -রাষ্ট্রপতি
৪৯-ক্ষমার –ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার
৫০- মেয়াদে- রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ
৫১- দায়মুক্তি- রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
৫২-অভিসংশন –রাষ্ট্রপতির অভিসংশন
৫৩-অপসারনের – অসামর্থ্যের কারনে রাষ্ট্রপতির অপসারন
৫৪- স্পীকার- অনুপস্থিতি প্রভৃতির কালে রাষ্ট্রপতি পদে স্পীকার
☼ অনুচ্ছেদ- ৫৫ থেকে ৫৮
অনুচ্ছেদ ৫৫ থেকে অনুচ্ছেদ ৫৮ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিগণ প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ ঠিক করেন।
চলুন দেখি ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৫৫-মন্ত্রিসভায়- মন্ত্রিসভা
৫৬-মন্ত্রিগণ- মন্ত্রিগণ
৫৭- প্রধানমন্ত্রী- প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ
৫৮-অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ- অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ
☼ অনুচ্ছেদ- ৬৫ থেকে ৭৯
[ads1]
অনুচ্ছেদ ৬৫ থেকে অনুচ্ছেদ ৭৯ পর্যন্ত মনে রাখতে আমি এই ছন্দটা মনে রাখতাম।
☼ সংসদ সদস্যগন শুন্য পারিশ্রমিকে অর্থদন্ড ও পদত্যাগের কারনে দ্বৈত অধিবেশেনে ভাষনের অধিকার স্পীকার কে দিলেন। কিন্তু কোরাম না থাকায় স্থায়ী কমিটি ন্যায়পাল নিয়োগে বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি পেতে সচিবালয় গঠন করেন।
চলুন, ছন্দের সাথে অনুচ্ছেদ গুলো মিলেয়ে নেই-
৬৫-সংসদ –সংসদ প্রতিষ্ঠা
৬৬-সদস্যগন –সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
৬৭- শুন্য- সদস্যদের আসন শুন্য হওয়া
৬৮- পারিশ্রমিকে- সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক প্রভৃতি
৬৯-অর্থদন্ড– শপথ গ্রহনের পূর্বে আসন গ্রহন বা ভোট দান করিলে সদস্যের অর্থদন্ড
৭০-পদত্যাগের কারনে – পদত্যাগ ইত্যাদি কারনে আসন শূন্য হওয়া
৭১- দ্বৈত- দ্বৈত সদস্যতায় বাঁধা
৭২-অধিবেশেনে –সংসদের অধিবেশেন
৭৩-ভাষনের –সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
৭৩ক-অধিকার- সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার
৭৪- স্পীকার- স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকার
৭৫-কোরাম– কার্যপ্রনালী বিধি, কোরাম প্রভৃতি
৭৬-স্থায়ী কমিটি – সংসদের স্থায়ী কমিটি সমূহ
৭৭- ন্যায়পাল- ন্যায়পাল
৭৮-সচিবালয়- সচিবালয়
এতক্ষন ধরে পড়ার পর যারা চিন্তা করছেন এই কবিতাই তো মনে থাকবে না, তাদের জন্য বলছি আর কোন কবিতা বা ছন্দ আমি তৈরি করি নি!!! কিন্তু তারপরেও আমি বলব, আরো বেশ কিছু অনুচ্ছেদ আপনাদের নিজেদের প্রয়োজনে পড়তেই হবে। সেগুলো হলঃ
- অনুচ্ছেদ-৪৬- দায়মুক্তি বিধানের ক্ষমতা
- অনুচ্ছেদ-৬৩- যুদ্ধ
- অনুচ্ছেদ- ৬৪- অ্যাটনী জেনারেল
- অনুচ্ছেদ- ৮১- টীকা হিসেবে অনেকবার এসেছে, টীকা হিসেবে তাই খুব ই গুরুত্বপূর্ণ
- অনুচ্ছেদ-৮৩-অধ্যাদেশ প্রনয়নের ক্ষমতা
- অনুচ্ছেদ- ১১৭-প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল
- অনুচ্ছেদ- ১২২-ভোটার তালিকায় নামভুক্তির যোগ্যতা
- অনুচ্ছেদ-১৪১ ক, খ, গ- জরুরী অবস্থা
- অনুচ্ছেদ- ১৪২-সংবিধান সংশোধন
- ১৪৫ক- আন্তর্জাতিক চুক্তি
- ১৪৮- পদের শপথ
ছন্দে ছন্দে সংবিধান শর্ট টেকনিক
[ads1]
প্র- প্রজাতন্ত্র: ১ম ভাগ (১-৭খ)
রা- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: ২য় ভাগ (৮-২৫)
মৌ- মৌলিক অধিকার: ৩য় ভাগ (২৬-৪৭ক)
নি- নির্বাহী বিভাগ: ৪র্থ ভাগ (৪৮-৬৪)
আ- আইন বিভাগ: ৫ম ভাগ (৬৫-৯৩)
বি- বিচার বিভাগ: ৬ষ্ঠ ভাগ (৯৪-১১৭)
নি- নির্বাচন: ৭ম ভাগ (১১৮-১২৬)
ম- মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক : ৮ম ভাগ (১২৭-১৩২)
বা- বাংলাদেশের কর্ম বিভাগ: ৯ম ভাগ (১৩৩-১৪১)
জ- জরুরি বিধানাবলী: ৯ম ক ভাগ (১৪১ক- ১৪১গ)
সং- সংবিধান সংশোধন : ১০ম ভাগ (১৪২)
বি- বিবিধ: একাদশ ভাগ (১৪৩-১৫৩)
ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার টেকনিক:
প্র- রা- মৌ- নি
আ- বি- নি
ম-বা- জ- সং-বি
প্রথম ভাগ : প্রজাতন্ত্র (১-৭খ)
ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার ক্যাপস্যূল :
[ads1]
১. প্রজার; ২. সীমানায়; ২(ক) রাষ্ট্রধর্ম; ৩. ভাষা; 8. সঙ্গীত; ৪(ক) প্রতিকৃতি; ৫. রাজ; ৬. নাগরিক; ৬(২)বাঙ্গালি; ৭. প্রাধান্য; ৭ক স্থগিত; ৭খ অযোগ্য৷
ব্যাখ্যা :
প্রজার = প্রজাতন্ত্র; অনুচ্ছেদ- ১
মূল বিষয়বস্তু: বাংলাদেশের নাম “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ” “People’s Republic of Bangladesh”
সীমানায় = প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা- অনুচ্ছেদ-২
রাষ্ট্রধর্ম = রাষ্ট্রধর্ম, অনুচ্ছেদ – ২ক
ভাষা= রাষ্ট্রভাষা, অনুচ্ছেদ – ৩
সঙ্গীত : জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক; অনুচ্ছেদ-৪
মূলকথা :
জাতীয় সঙ্গীত: আমার সোনার বাংলার প্রথম ১০ লাইন। ৪ (১)
প্রাসঙ্গিক তথ্য :
“আমার সোনার বাংলা, ……..” গানটির রচয়িতা ও সুরকার: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রচনার প্রেক্ষাপট: ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ।
দ্বিতীয় ভাগ ঃ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি (৮-২৫)
ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার ট্যাবলেট :
[ads1]
৮. মূলে; ৯. জাতি; ১০. সমাজ; ১১. গণ
১২. ধর্ম; ১৩. মালিক; ১৪. কৃষক; ১৫. মন
১৬. গ্রামীণ; ১৭. শিক্ষার; ১৮. জনগণ
১৮ক- পরিবেশের উন্নয়ন ।
১৯. সুযোগের; ২০. অধিকার; ২১. নাগরিকের কর্তব্য
২২. বিচারের স্বাধীনতা; এই হলো বক্তব্য।
২৩. জাতীয় সংস্কৃতি; ২৩ক. সংস্কৃতি উপজাতি
২৪. জাতীয় স্মৃতিতে; ২৫. পররাষ্ট্র এই নীতি
ছন্দে ছন্দে সংবিধান জন্য জাতীয় সংসদ সম্পর্কে মূলকথাঃ
ব্যাখ্যা :
সংসদের = সংসদ প্রতিষ্ঠা, ৬৫ নং অনুচ্ছেদ।
মূলকথা:
- বাংলাদেশের সংসদের নাম “জাতীয় সংসদ”।
- এর কাজ আইন প্রণয়ন করা।
- নির্বাচিত আসন ৩০০ এবং সংরক্ষিত মহিলা আসন ৫০।
- রাজধানীতে সংসদের আসন থাকবে। প্রাসঙ্গিক তথ্য: জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কান।
- জাতীয় সংসদ ভবনের উচ্চতা- নয়তলা (১৫৫ ফুট ৮ ইঞ্চি বা ৪৬.৫ মি.)। জাতীয় সংসদ ভবনের এরিয়া- ২০৮ একর মতান্তরে ২১৫ একর।
- পরিবর্তিত নকশা সম্পন্ন করেন- হেনরি উইলকট।
- উদ্বোধন করেন: প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার (১৯৮২)। সর্বাধিক সংসদীয় আসন ঢাকায় (২০টি)।
- সবচেয়ে কম আসন- রাঙ্গামাটি (১টি), বান্দরবান (১টি) এবং
- খাগড়াছড়ি (১টি)।
- জাতীয় সংসদের ১ নং আসন- পঞ্চগড়।
- জাতীয় সংসদের ৩০০ নং আসন- বান্দরবান। যোগ্যতা = সংসদের নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা, ৬৬ নং অনুচ্ছেদ।
যোগ্যতা:
১। বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
২। ২৫ বছর বয়স হতে হবে।
প্রসঙ্গিক তথ্য: বাংলাদেশে এই পর্যন্ত মোট ৫ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
- প্রথম : ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭৪
- দ্বিতীয় : ৩০ মে, ১৯৮১
- তৃতীয় : ২৭ নভেম্বর, ১৯৮৭ চতুর্থ : ২৭ নভেম্বর, ১৯৯০
- পঞ্চম : ১১ জানুযায়ী, ২০০৭
ছন্দে ছন্দে সংবিধান এর সালগুলো মনে রাখার টেকনিক:
[ads1]
৪ ১ ৭ ০ ৭
ব্যাখা: ৪ বলতে ১৯৭৪, ১ বলতে ১৯৮১, ৭ বলতে ১৯৮৭, ০ বলতে ১৯৯০, ৭ বলতে ২০০৭ সালকে বুঝাবে।
১৪১খ : জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদের বিধান স্থগিতকরণ
যে অনুচ্ছেদসমূহ স্থগিত থাকে:
৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪২ (৩৬ থেকে ৪১ বাদে ৪২ পর্যন্ত)।
১৪১গ: জরুরি অবস্থায় মৌলিক অধিকার স্থগিত।
মূলকথা: জরুরি অবস্থা দুই প্রকার
১। সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে।
২। অঞ্চল ভিত্তিক বাংলাদেশে। ১৪১ গ (২)
গণপরিষদে খসড়া সংবিধান:
উত্থাপন-: ১২ অক্টোবর, ১৯৭২
খসড়া সংবিধান গৃহীত : ৪ নভেম্বর, ১৯৭২।
খসড়া সংবিধান স্বাক্ষর: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
সংবিধান কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
ছন্দে ছন্দে সংবিধান মনে রাখার ক্যাপস্যূল :
O | N | D | D |
১২ | ৪ | ১৪ | ১৬ |
উ | গৃ | স্বা | কা |
ব্যাখ্যা :
O= October | N= November | D = December | D= December |
১২=12 october | ৪= 4 November | ১৪= 14 December | ১৬= 16 December |
উ = উত্থাপন | গৃ = গৃহীত | স্বা = স্বাক্ষর | কা= কার্যকর |
ছন্দে ছন্দে সংবিধান রচনা কমিটি:
- সদস্য: ৩৪ জন
- আওয়ামী লীগ সদস্য: ৩৩ জন
- একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য: ১ জন
- কমিটির প্রধান: ড. কামাল হোসেন
- একমাত্র মহিলা সদস্য: বেগম রাজিয়া বানু (বেরাবা)
- একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য: সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত
ছন্দে ছন্দে সংবিধান রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব :
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সাংবিধানিক আদেশ জারি করেন।
- বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী – গণপরিষদ আদেশ জারি করেন।
- মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ- গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি
- শাহ আব্দুল হামিদ গণপরিষদের প্রথম স্পিকার
- ড. কামাল হোসেন সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান/ সংবিধানের জনক/রূপকার।
- মোহাম্মদ উলণ্ঢাহ – গণপরিষদের প্রথম ডেপুটি স্পিকার। –
- সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত – একমাত্র বিরোধীদলীয় এবং খসড়া সংবিধানে স্বাক্ষর না কারী সদস্য।
- বেগম রাজিয়া বানু – একমাত্র মহিলা সদস্য।
- আব্দুর রউফ – লিপিকার / হস্ত লেখক।
- শিল্পী হাসেম খান – সংবিধানের অঙ্গসজ্জাকারী।
- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংবিধানের অঙ্গসজ্জার তত্ত্বাবধান করেন।
- অধ্যাপক ইউসুফ আলী ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর -সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন।
সংখ্যায় ছন্দে ছন্দে সংবিধান :
- সংবিধানের প্রস্তাবনা একটি।
- সংবিধান প্রণয়ন কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য।
- সংবিধানের ১ নং অনুচ্ছেদ-প্রজাতন্ত্র।
- সংবিধানের একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য।
এতক্ষণ আপনারা এখানে সংবিধানের শর্ট টেকনিক, সংবিধান সম্পর্কিত প্রশ্ন pdf, ছন্দে ছন্দে সংবিধান pdf, সংবিধান mcq pdf, সংবিধান সংশোধন পিডিএফ, বাংলাদেশের সংবিধান, সংবিধানের তফসিল pdf, সংবিধান সংশোধনী, ছন্দে ছন্দে সংবিধান, ছন্দে ছন্দে সংবিধান pdf, ছন্দে ছন্দে বাংলাদেশের সংবিধান, সংবিধান মনে রাখার কৌশল, বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা সমূহ, বাংলাদেশের সংবিধান pdf ২০২১, সংবিধান আরিফ খান pdf, সংবিধানের শর্ট টেকনিক, সংবিধান মডেল টেস্ট, সংবিধানের ভাগ: ১১টি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলেন।